দেখুন অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহারে আপনার কি কি সমস্যা হতে পারে
একবার যাচাই করে দেখুন আপনি ফেসবুকে আসক্ত কি না। আরও দেখুন অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহারে আপনার কি কি সমস্যা হতে পারে।
ফেসবুকে আসক্তির লক্ষণ :
১. নিজের সম্পর্কে অতিরিক্ত শেয়ার করা।
২. যখন-তখন কারণ ছাড়াই ফেসবুকে ঢোকা।
৩. প্রোফাইলের ছবিটি নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া।
৪. ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিউজ ফিড পড়া এবং এগুলো নিয়ে সময় পার করা।
৫. অনলাইনের জন্য বাস্তবের জীবনকে জলাঞ্জলি দেওয়া।
৬. কাউকে বন্ধু করতে পাগলের মতো আচরণ করা।
৭. ফোনের নোটিফিকেশন বা কোনো নোটিফিকেশনের চিহ্ন দেখলেই উত্তেজিত হয়ে ওঠা।
৮. কোথাও গেলে সঙ্গে সঙ্গে চেক ইন করার মাধ্যমে নিজের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া।
৯. প্রায়ই মানুষকে ট্যাগ করা।
১০. কাজের সময় লুকিয়ে গোপনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুক ব্যবহার করা।
১১. কেউ যখন কোনো ফেসবুক পোস্টে কোনো মন্তব্য করে না তখন হতাশ হয়ে পড়া।
১২. বন্ধু সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অপরিচিতদের তালিকায় যুক্ত করার প্রবণতা।
১৩. একেবারে মাঝ রাতে ঘুম থেকে ধড়ফড় করে উঠে ফেসবুক চেক করা।
১৪. ফেসবুক ছাড়া জীবন অচল হয়ে পড়ছে এ রকম ভাবনা পেয়ে বসা।
ফেসবুক আসক্তির ফলে যা ঘটে :
১. আবেগ-অনুভূতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
২. হতাশা ও দুশ্চিন্তা পেয়ে বসে।
৩. একাকী বোধ হয় ও নিজেকে দোষী ভাবতে শুরু করে আসক্ত ব্যক্তি।
৪. কাজের সময় ঠিকঠাক থাকে না, কাজের আগ্রহ হারিয়ে যায়।
৫. সময় জ্ঞান লোপ পায়, অসৎ পথে পরিচালিত হতে বাধ্য করে।
৬. নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করে ঈর্ষাবোধ হতে শুরু করে।
৭. দায়-দায়িত্ব ভুলে মনোযোগ ডুবে থাকে ফেসবুকে।
৮. সম্পর্ক নষ্ট হয়, ঘর ভেঙে যেতে পারে।
শারীরিক সমস্যা:
১. পিঠব্যথা।
২. মাথাব্যথা।
৩. স্পন্ডাইলিটিজ বা মেরুদণ্ডে সমস্যা।
৪. ওজনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে কারও ওজন বেড়ে যায় আবার কারও ওজন কমে যায়।
৫. ইনসমনিয়া বা ঘুমের ব্যাঘাত।
৬. চোখে দেখতে সমস্যা।
প্রতিকারের উপায় :
১. চিরতরে ফেসবুক লগ আউট করা।
২. কখনও ফেসবুকে লগ ইন করার চেষ্টা না করা।
৩. মনের সাথে যুদ্ধ করে সর্বদা ফেসবুক কে এড়িয়ে চলা।
ধন্যবাদ সবাইকে।আলামিন
No comments