GM MEDIA

নিদ্রাহীনতা অনেক রোগ জন্ম দেয় এখনি জেনে নিন



বিছানায় গেলে ঘুম না আসা নিঃসন্দেহে একটি যন্ত্রণার নাম। পরিশ্রম কম বা বেশি, কোনো বিষয়ে চিন্তিত থাকা, শারীরিক কোনো সমস্যা বা যে কোনো কারণে এই সমস্যা হতে পারে। কারো ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা অনেক বেশি। রাতে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমানো মানুষদের এক-চতুর্থাংশ কার্ডিওভাসকুলার সমস্যায় ভুগতে পারেন- ‘স্লিপ’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।


এসব মানুষের ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধা, দুর্বলতা বোধ, দুর্বল হার্টবিটসহ নানা সমস্যা হতে পারে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা বলছেন, ঘুমের সমস্যা শরীরে আরও অনেক ধরনের রোগ টেনে আনতে পারে, সেগুলো হলো:

কোমর: গবেষণায় পাওয়া গেছে, যারা রাতে মাত্র ৫ ঘণ্টা ঘুমান তাদের মাঝে স্থূলতা দেখা দেয় বেশি। বিশেষ করে কোমরে চর্বি জমে যায়। কোমরে ব্যথা, হাঁটাচলায় কষ্ট হওয়া এবং পেটে চর্বি জমে গিয়ে মোটা হতে সাহায্য করে।

উচ্চরক্তচাপ: যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের সিসটোলিক বিপি ১৩২-এ উঠে যায়। অথচ যার স্বাভাবিক মাপ ১২০ এর কম। সঠিক ঘুমের অভাবে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যাকে স্ট্রেস হরমোন বলা হয়।

অগ্ন্যাশয়: রাতে গড়ে ছয় ঘণ্টা ঘুমের কারণে পুরুষদের ডায়াবেটিস দেখা দেয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ইয়েল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

অবসাদ: একটানা ২৪ ঘণ্টা নির্ঘুম কাটালে মস্তিষ্কের কগনিটিভ মোটরের অবস্থা মাদকাসক্তির আচরণ করে। এছাড়া টানা তিন দিন ধরে ১৯ ঘণ্টা করে জেগে থাকলে মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে যাওয়া শুরু করে। এতে সাধারণ কাজের গতি বাধাগ্রস্ত হয়, শরীরে অবসাদ আনে। কোনো কিছুতে মনোযোগ আসে না।

স্থূলতা: ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, যারা দিনে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের পাকস্থলীতে লেপটিন হরমোনের পরিমাণ ১৫.৫ শতাংশ কমে যায়। এটি আপনাকে ভরপেট খাবারের অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাট বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্থূলতা বাড়ে।

No comments

Powered by Blogger.