ডায়াপার র্যাশের যন্ত্রণা প্রতিরোধের উপায়
![]() |
ডায়াপার র্যাশের যন্ত্রণা প্রতিরোধের উপায় |
বর্তমান বিশ্বে নবজাতকদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিধেয় হিসেবে ডায়াপার বা ন্যাপি মায়েদের প্রথম পছন্দ। ব্যবহারে সহজ ও বাচ্চাদের জন্যে আরামদায়ক হওয়ায় শৈশব এর বেশিরভাগ সময় বাচ্চারা ডায়াপার পরেই কাটায়। কিন্তু অন্যদিকে, এর ব্যবহারের ফলে বাচ্চার ত্বকের সুরক্ষা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত থাকেন মায়েরা।
ডায়াপার পরিধানের ফলে, বাচ্চার শরীরের নিম্নাংশ বিভিন্ন রোগ জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়। যার মধ্যে শরীরে র্যাশ বা ফুসকুড়ি ওঠা অন্যতম। তবে সমস্যা যেমন থাকে, রয়েছে তার সমাধানও। আর এমন যদি হয় সমস্যা হওয়ার আগেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তবে সেটাই শিশুর জন্য উত্তম। বলা হয়ে থাকে ‘প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম’। আর ছোট্ট সোনামণিদের র্যাশের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করতে মায়েদের প্রয়োজন একটু বাড়তি সচেতনতা।
এই যেমন প্রতিবার ডায়াপার বদলানোর পর নতুন ডায়াপার পড়ানোর আগে ভালো মানের একটি র্যাশ ক্রিম ব্যবহার করা। বাচ্চাদের ত্বককে র্যাশ এর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে র্যাশ ক্রিম বিশেষ কার্যকরী। প্রতিবার বাচ্চাকে নতুন ডায়াপার পরানোর পূর্বে ডায়াপার এরিয়া ভালো করে পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে উক্ত স্থানের আশেপাশে র্যাশ ক্রিমের প্রয়োগ করতে হয়। র্যাশ ক্রিম ব্যবহার করলে শিশুর ডায়াপার এরিয়ার ত্বকে একটি নিরাপদ আস্তর তৈরি হয় এবং আস্তরটি তৈরি করে পানি নিরোধক এক সুরক্ষা বলয় যা শিশুর ত্বককে রাখে সুরক্ষিত। এতে করে শিশুর ডায়াপার এরিয়াতে কোন সংক্রমণ ঘটার সুযোগ থাকে না। তাই শিশুর কোমল ত্বকে যন্ত্রণাদায়ক র্যাশের আক্রমণের আগেই প্রতিবার ডায়াপার ব্যবহারের পূর্বে বাচ্চার ত্বককে দিন র্যাশ ক্রিমের ছোঁয়া।
বাচ্চার আরাম নিশ্চিত করতে ও অস্থিরতা কমাতে র্যাশ ক্রিম ব্যবহার একটি নির্ভরযোগ্য সমাধান। স্ট্যাটিস্টা রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট এর এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আমেরিকার বেবি ডায়াপার র্যাশ ক্রিম মার্কেট এর সর্বমোট বাজারমূল্য ২০১৮ সাল নাগাদ ছিল প্রায় ২৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সাল নাগাদ তা গিয়ে দাঁড়াবে ৪০৫.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে [Statista Research Department, Dec 12, 2019]। যার থেকে খুব সহজেই অনুমান করা যায় র্যাশ ক্রিম এর উপকারিতা, প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহারের সুফল। যেকোনো সমস্যার পূর্বেই তার প্রতিরোধ ও প্রতিকার এর ব্যবস্থা থাকলে, দুশ্চিন্তা কমে যায় অনেকাংশেই।
No comments