GM MEDIA

আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস || GM MEDIA


আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও তিন লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। যেসব কীর্তিমান মানুষের আত্মত্যাগে এই বিজয় সম্ভব হয়েছিল, বিজয়ের দিনে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এ বিজয়কে অনিবার্য করে তুলেছিলেন, তাঁদের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ অভিবাদন। 

পৃথিবীর সব স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা দিবস থাকলেও বিজয় দিবস থাকে না। বাংলাদেশ সেই বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী দেশ, যেটি ২৪ বছরের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের পর রণাঙ্গনে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছে। 

আমাদের স্বাধীনতার বয়স এখন ৪৬ বছর। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এটি খুব বেশি দীর্ঘ সময় না হলেও একটি জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য একেবারে কম নয়। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, যে লক্ষ্য ও আদর্শকে সামনে রেখে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সেই লক্ষ্য ও আদর্শ কতটা অর্জিত হয়েছে? স্বাধীনতার প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল সব ধরনের অধীনতা থেকে মুক্তি এবং সমাজে গণতন্ত্র, ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠা। সব নাগরিকের মৌলিক চাহিদা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বাহাত্তরের সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে মৌলিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। 

কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয়, আমরা সেখানে স্থির থাকতে পারিনি। একদলীয় শাসন কিংবা সামরিক শাসন আমাদের অগ্রযাত্রাকে বারবার ব্যাহত করেছে। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রতিষ্ঠিত সংসদীয় ব্যবস্থাকেও আমরা সংহত করতে পরিনি। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ আর্থসামাজিক সূচকে আমরা অনেক এগিয়ে গেলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি। 

আজকের বিজয় দিবসের শপথ হোক, সব ধরনের হানাহানি ও বৈরিতা-বিদ্বেষকে পেছনে ফেলে, দেশের ও জনগণের কল্যাণে সবাই এক হয়ে কাজ করব। আর এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের দায়ই যে বেশি, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

বিজয়ী জাতি কখনোই পরাজয় মানে না। বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে অবিচল থাকবে। 

"জি, এম আলামিনের" পরিবারের পক্ষ থেকে এবং "GM MEDIA" এর পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছি সেসব শহীদকে, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। সেসব বীর সেনানিকে, যারা শোষণ ও বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। যেসব নরনারীর সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

No comments

Powered by Blogger.